দূষিত বাতাসে ব্যবসায় নতুন সম্ভাবনা

 

দূষিত বাতাসে ব্যবসায় নতুন সম্ভাবনা

বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম বলেছিলেন, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে’। তবে এই বসন্তে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে বাতাসের সঙ্গে ক্ষতিকর উপাদানই বেশি আসে। তবে এই দূষিত বাতাসই বয়ে আনছে ব্যবসায় নতুন সম্ভাবনার ঘ্রাণ! কীভাবে? দেখুন তাহলে!

দুষ্টুজনেরা বলে, চিপসের প্যাকেটের ভেতর যতটুকু না চিপস থাকে, তার চেয়ে বেশি থাকে বাতাস। কেউ কেউ তো আরেক কাঠি সরেস; তারা বলে, ‘দোকান থেকে একটা বাতাসের প্যাকেট কিনেছিলাম, সেটা খুলে দেখি, দু–চারটা চিপসও আছে!’ সেসব দুষ্টুজনের অপবাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতেই এবার চিপসের কোম্পানিগুলো প্যাকেটভর্তি সত্যিকারের বিশুদ্ধ বাতাস বিক্রি করতে পারে। দূষিত বাতাসের ভিড়ে বিশুদ্ধ বাতাস পেলে লোকজন যে হামলে পড়ে কিনবে, তা কি আর বলতে!

মাটির নিচ থেকে ম্যাজিকের মতো পানি তুলে এনে নিজেদের ব্যবসাকে কেওক্রাডংয়ের চূড়ায় তুলছে পাইপ কোম্পানিগুলো। তাদের এই ব্যবসা আরও উন্নততর করতে দরকার খানিকটা নতুন বুদ্ধি। পাইপ দিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি তোলার পাশাপাশি মাটির ওপরের দূষিত বাতাস মাটির নিচে পাচার করার ব্যবস্থাও করতে পারে তারা। এতে এক কাজেই ডাবল লাভ।

থিমপার্ক ব্যবসায়



দিন দিন এমন অবস্থা দাঁড়াচ্ছে যে পাড়ার অলিগলিতে থিমপার্ক কিংবা বিনোদনকেন্দ্র গড়ে উঠছে। হাজারো কাজের ফাঁকে সামান্য আনন্দ নিতেই মানুষ পিঁপড়ার মতো সারি ধরে এসব থিমপার্কে ছুটে যাচ্ছে। এ অবস্থায় থিমপার্ক কোম্পানিগুলো ‘বিশুদ্ধ বাতাস কেন্দ্র’–জাতীয় জোন খুলতে পারে। যেখানে বিভিন্ন রকম বিশুদ্ধ বাতাসবিষয়ক রাইড থাকবে, যা মানুষের ফুসফুসে একেবারে ফ্রিজে রাখা তরতাজা বাতাস ঢুকিয়ে দেবে।

বিমা কোম্পানির ব্যবসায়





লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলো আজকাল তো পারলে পায়ের আঙুলের নখের ভেতরের ময়লার জন্যও বিমা করিয়ে দেয়। তাহলে দূষিত বাতাসের ওপর করতে দোষ কী? যেসব লোক দূষিত বাতাসের এই ভয়ংকর পরিবেশেও বহাল তবিয়তে টিকে থাকতে পারে, তারা যদি শ্বাসের সঙ্গে বিশুদ্ধ বাতাস নিতে গিয়ে অক্কা পায় কিংবা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে, সেটার জন্যই এই জীবনবিমা। আশা করা যায়, এসব কোম্পানি এর ফলে আরও লাভবান হবে।

No comments

Theme images by Jason Morrow. Powered by Blogger.