তৈরি পোশাকশিল্প -যুক্তরাজ্যে পোশাক বিক্রি মহামারি শুরুর পর সর্বোচ্চ
যুক্তরাজ্যে পোশাক বিক্রি মহামারি শুরুর পর সর্বোচ্চ
খ্রিষ্টানদের বৃহত্তম উৎসব ক্রিসমাস ডে বা বড়দিন আসতে এখনো মাস খানেকের বেশি বাকি। তবে এর মধ্যেই যুক্তরাজ্যে কেনাকাটা বেড়ে গেছে। দেশটির অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্সের(ওএনএস) তথ্যানুসারে, অক্টোবর মাসে দেশটিতে কেনাবেচা প্রবৃদ্ধির হার ছিল শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ সেপ্টেম্বরে দেশটিতে পণ্য কেনাবেচায় কোনো প্রবৃদ্ধি ছিল না।
ওএনএসের তথ্যানুসারে, পোশাকের বিক্রি মহামারি শুরুর পর এখন সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছেছে। তারা আরও বলেছে, পুরোনো পোশাকের দোকানেও কেনাকাটা বেড়েছে। ওএনএস আরও বলেছে, বেচাকেনা এখন মহামারি পূর্ব সময়ের তুলনায় মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কম। অনেক দোকানিই বলছেন, প্রাক-বড়দিন কেনাকাটায় গতি আসায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এবার বড় দিনের আগেই মানুষ যেসব জিনিস কিনছেন বা কেনার পূর্ব-কার্যাদেশ দিচ্ছেন সেগুলো হচ্ছে খেলনা, জামাকাপড়, জুতা ইত্যাদি
ওএনএসের প্রধান অর্থনীতিবিদ গ্র্যান্ট ফিটজনার বলেছেন, 'টানা পাঁচ মাস বিক্রিবাট্টার প্রবৃদ্ধি না হওয়ার পর অক্টোবর মাসে খুচরা বেচাকেনা প্রবৃদ্ধির মুখ দেখেছে। সামগ্রিকভাবে বেচাকেনা প্রাক মহামারি সময়ের তুলনায় বেশি হলেও বাজারে মিশ্র চিত্র দেখা যাচ্ছে।
অর্থনীতি চাঙা হতে শুরু করায় ব্রিটিশ সরকারের ঋণও কমে এসেছে। অক্টোবর মাসে সরকারের ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮০ কোটি পাউন্ড। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২০ কোটি পাউন্ড কম। মহামারি মোকাবিলায় ব্রিটিশ সরকার বিপুল ঋণ নিয়েছে, যা এক পর্যায়ে ব্রিটিশ জিডিপিকেও ছাড়িয়ে যায়।
এদিকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে। অনলাইন কেনাবেচা ও খাদ্য বিক্রির হারও কমে গেছে। ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়ামের প্রধান নির্বাহী হেলেন ডিকিনসন বলেছেন, সরবরাহকারীরা সরবরাহ ব্যবস্থা গতিশীল রাখার জন্য প্রাণপন চেষ্টা করছেন। বড়দিনের ব্যবসা ধরতে পারলে ব্যবসায়ীরা অনকেটাই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন। আর আগামী এক মাস চাহিদাও চাঙা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থনীতি চাঙা হতে শুরু করায় ব্রিটিশ সরকারের ঋণও কমে এসেছে। অক্টোবর মাসে সরকারের ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮০ কোটি পাউন্ড। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২০ কোটি পাউন্ড কম। মহামারি মোকাবিলায় ব্রিটিশ সরকার বিপুল ঋণ নিয়েছে, যা এক পর্যায়ে ব্রিটিশ জিডিপিকেও ছাড়িয়ে যায়।
No comments